প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে অমান্য করাই কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ঃঃ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে অমান্য করাই কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াজ মালিথা।
সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াজ মালিথা বলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাকে অমান্য করে চলমান কাজ থাকা সত্বেও কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একের পর এক কাজ দিয়ে যাচ্ছেন । এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু সাথে বার বার আলাপ করেও কোন সুরাহা হয়নি।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার পুনাক রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াজ মালিথা এ সব কথা বলেন তিনি অভিযোগ করেন, কাজ চলমান থাকা সত্বেও ন্যাচারাল সালেহ আহমেদ ৪টি, ন্যাচারাল লিয়াকত আলীর নামে ৪টি, নাসির উদ্দিন মোল্লার নামে ৩টি, সৈকত এন্টারপ্রাইজের নামে ২টি নতুন কাজ দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের সাথে আঁতাত করে পুনরায় তাদেরকে শত কোটির টাকার কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক কাজ থাকায় কাজের মান খারাপ ও কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। এর কারনে নামে মাত্র কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অঢেল সম্পদের মালিক হচ্ছেন সাথে কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। অন্যদিকে বাকি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো কাজ না পেয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছেন ।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াজ মালিথা আরো বলেন, গত (২৪ নভেম্বর) মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন কোন ঠিকারী প্রতিষ্ঠান চলমান কাজ শেষ না করলে নতুন কোন কাজ দেয়া যাবে না । সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সদস্য মো: আসাদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে সচিব বলেছিলেন , আমাদের অনেক প্রকল্প, নির্মাণে দেরি হয়ে যায়। এই দেরির একটাই কারণ হলো একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনেক গুলো কাজ পেয়ে থাকে। মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কে কত গুলো কাজ পেয়েছে, কাজ সময় মতো শেষ করেছে কি না, কোন সময় শেষ করেছে, এ সবের একটি তালিকা সব মন্ত্রণালয় তৈরি করবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন সেই সভায়।
(চলমান) কাজ শেষ করলে পরের কাজ পাবে। এর দুটি উদ্দেশ্য। একটি হলো নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে নির্মাণ কাজের জন্য, মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমিত থাকবে না। দ্বিতীয়ত সময় তো নির্মাণকাজ শেষ হবে। সুত্র ১! প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের স্মারক নং – ০৩০৭৩০৪৬২১০০০০১২০১৮২৫৯ তারিখ ৩রা,অক্টোবর ২০১৯ খৃস্টাব্দ।
কিন্তু কুষ্টিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুগুলী দেখিয়ে সিন্ডিকেট মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু । তিনি বলেন আমরা তার সাথে আঁতাত না করার কারনে কাজ পায়নি। এতে দিন দিন আমরা,মারাত্মক ভাবে আর্থীক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘুষ বানিজ্য ঠেকানো না যায় তাহলে বাকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে । নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডুর ঘুষ বানিজ্য বন্ধ করতে ভুক্তভোগীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশিষ্ট উর্ধবতন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি সংবাদ সম্মেলেনে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।