করোনাভাইরাসঃ সরকার যেন কাগজহীনদের পাশেই দাড়ায়
নয়ন এনকে, প্যারিস : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, এমানুয়েল ম্যাক্রন করোনাভাইরাসএর সময় অনেকবার টেলিভিশন সাক্ষাতকার দিয়েছে এবং তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, ১০০% আংশিক বেকারত্বে থাকা কর্মচারীরা আর চাকুরীদাতা সেই সংস্থাগুলি (রেস্তোঁরা, সিনেমা, পর্যটন …) এর জন্য পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে যারা লোকডাউন আর কারফিউয়ের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি অনেক ভালো একটি সিদ্ধান্ত, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কিন্তু ফ্রান্সে কি শুধু কাগজধারীরা বসবাস করে বা কাজ করে? ফ্রান্সের গভর্নমেন্ট কি ভুলে গিয়েছে যে ফ্রান্স ৬০০ ০০০ বেশি কাগজহীন বসবাস করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কাজ করে কিন্তু তাদের কোনো আংশিক বেকারত্বে সাহায্য পায় না।
এইক্ষেত্রে কেন ফ্রান্সের গভর্নমেন্ট চোখ বন্ধ করে আছে? তাদের দেখেও কেন তাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে? কেন তাদের সংগে এমন ব্যবহার হচ্ছে!
সরকার একবার কি ভেবে দেখেছে কিভাবে কেটেছে বা কাটছে তাদের লকডাউনের সময়? কিভাবে তারা তাদের জীবন যাপন করেছে আর করছে।
ফ্রান্সকে মানবতার দেশ বলা হয় যেটা সত্যি কিন্তু এই মহামারি সময়ে কি ফ্রান্সের গভর্নমেন্ট অনিয়মিতদের সাথে মানবতা দেখিয়েছে?
গভর্নমেন্ট তাদের না দেখলেও আমরা তাদের দেখতে পাই হাজার হাজার মানুষ এবং তাদের পশে রয়েছে এর জন্য তাদের নিয়মিত করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
করোনাকালকে সামনে রেখে এদেশে কাগজহীন অভিবাসীদের কাগজের ব্যবস্থা করার দাবিতে সারা ফ্রান্সে আন্দোলন চলছে। ইতোমধ্যেই গত ৩০ মে এবং ২০ জুন এবং আর ১ মাস ধরে ফ্রান্সের সব জায়গায় হাটতে হাটতে আন্দোলনকারীরা ১৭ অক্টোবর শনিবার প্যারিসের Elysée প্রাসাদের সামনে এসে একটি বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
এবং ১৮ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব অভিবাসী দিবস’ এই চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনরত সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গ একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সমাবেশে তিন শতাধিক সংগঠনের ও বেশি অংশ নিয়েছিল। ফ্রান্সের বড় বড় শহরেও ১৮ ডিসেম্বর আন্দোলন হয়েছে।
এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলো La France Insoumise এর সংসদ সদস্য :Mathilde Panot, Eric Coquerel এবং আরো অনেক ম্প,
প্যারিসের কাউন্সিলর: Danielle Simonnet,
Grigny এর ডেপুটি মেয়র: Pascal Troadec
সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ফ্রান্স সংসদের সাংসদ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেয়।
আসা করবো ফ্রান্সের গভর্নমেন্ট অতি শীঘ্রই মানবতা দেখাবে, অনিয়মিতদের পাশে দাঁড়াবে এবং অনিমিতদের নিয়মিত করবে।
আপনাদের পাশে ছিলাম এর পরেও আপনাদের পাশে থাকবো