চৌগাছায় একই পরিবারের ৩জনের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ
সোহেল রানা,যশোর প্রতিনিধিঃইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জন্মানোর কারণে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে পরিবারের তিন সদস্য নিজেদের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এক দম্পতি।
দারিদ্র্যতার যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার পরও জীবনের শেষ সময়ে এসে আল্লাহ ও রসুলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ধর্ম পরিবর্তন করেন তারা।ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে কাটিয়ে দিতে চান জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছেন নব মুসলিম এই পরিবারটি।
সরেজমিনে জানা যায়, যশোরের চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া (রামভাদ্রপুর) গ্রামের সাধায় রাহা স্ত্রী সন্ধ্যা রাহা ও একমাত্র কন্যা সাধনা রাহার বসবাস।সম্প্রতি চলতি বছরের ২১/১২/২০২০ ইং তারিখে নিজ হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে কোর্টের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তারা।
তিন সদস্যের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সাধায় রাহা দারিদ্র্যতার কষাঘাতে দুমড়ে মুচড়ে পানের ব্যবসা করে দিন পার করছিলেন।
কয়েক বছর যাবত ইসলাম ধর্মের আইন কানুন,নিয়ম নীতি ও ইসলামের সত্যতা এবং পবিত্র আল কোরআনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মনের সাথে যুদ্ধ করতে থাকেন এই তিন সদস্য।পরিশেষে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মোসলমান ধর্ম গ্রহণ করে ইসলাম ও নবীর আদর্শে জীবন পরিচালনা শুরু করেছেন এই হতদরিদ্র পরিবার।
নাম পরিবর্তন করে সাধই রাহা নামের স্থলে মোঃ আবুল কাশেম (৭৬) স্ত্রী সন্ধ্যা রাহা স্থলে মোছাঃ সায়রা বেগম (৫৩) ও মেয়ে সাধনা রাহা স্থলে মোছাঃ রাবেয়া আক্তার মিম (২২) রাখা হয়েছে।
সাধই রাহার কণ্যা সাধনা রাহা বর্তমানে রাবেয়া আক্তার মিম জানায়,ইসলাম ধর্ম আমার ভিশন ভাল লাগে। ইসলাম ধর্মের নিয়ম কানুন আচার ব্যবহার সব কিছুই আমাকে আকৃষ্ট করে। কোরআনের বানী চিরন্তন সত্য ও মধুর মতো লাগে।এজন্য আমি বাবা মাকে ইসলামের দিক নির্দেশনা ও হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করতে অবগত করি।পরিশেষে আমার বাবা মাও ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহ আল্লাহর রসুলের প্রতি আনুগত্য শীকার ও প্রকাশ করে।
এলাকাবাসীরা জানান, এই পরিবারটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাই আমাদের ভীষণ ভালো লাগছে।তারা আজ থেকে আমাদেরই অনুসারী। তাদের সার্বিক দেকভালের দায়িত্বটাও আমাদের।
আবুল কাশেম বলেন, আমরা স্বপরিবারে ইসলাম ধর্মের রীতি- নীতি অনুসারে বাকি জিবন যেন কাটাতে পারি।এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
ধুলিয়ানী,চৌগাছা, যশোরের ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ডাঃ কাজী ইকবাল হোসেন বলেন, আমার কাছে মাধই রাহা এবং তার কণ্যা সাধনা রাহা এসে বলেন,আমরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাই।
আমি তাদের বিষয়টা ওয়ার্ড মেম্বর মোস্তফা এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করে ভাল করে ভাবার জন্য পাঁচ সপ্তাহের সময় দি।পরে তারা সিদ্ধান্তে অটল থেকে যশোর আদালত থেকে এফিডেভিট করে রাতেই এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে তাদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে কালেমা পাঠ করানো হয়।