কবিতা “বিসর্গ”
ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস
রাতের প্রান্তে যদি নেমে আসে আবার, অসীম অন্ধকার
গভীর তনুর দিগন্ত মিলনে, পুনরায়!
যদি শর্বরী পথ ছেয়ে যায়
বিশ্রান্ত যকৃতে, কালো পিচে!
তবে আঁধার তুমি থেকে যাও জ্যামিতিক রূপে
ধূসর স্ফটিক, কেলাসের মতো।
ঐ নিষ্ঠুর অন্ধকারে আমি ভ্রান্ত পথিক।
বুকের ভুঁইফোড়া কালসিটে গিজগিজে সুখের-
পানসে নিঃসরণে ক্লান্ত হয়ে বেহুঁশ হওয়া নিরর্থক ।
সময়ের লাগামছাড়া বেহায়াপনার ধূর্ততা
থাকবেই মন্ত্রপুত জলের মতো, মায়াবী- বিহারী।
শুধু চেয়ে দেখা বহুক্রোশ দূরে
জীবনের আরক- ঝাঁজ, কালঘামে আবিষ্কার-
ঘোমটার তলে রোজকার হাজিরা খাতায়,
আমার পণ্ডশ্রম, স্তুপাকার।
অমীমাংসিত হিসেব ঘেঁটে ঘেঁটে কেটে যাওয়া সারা রাত
ঢুকে যায় ফুসফুসের অন্ধি-সন্ধিতে।
চির প্রহর ব্যাপী সে আঁধার
নিজেকে ফাঁকি দেওয়া কর্কট আওয়াজ তুলে আনে
লক্ষ বজ্রপাত-
ভেঙে দেয় যকৃত্ ভীষণদর্শনে।
আর কতো,আর কতো এ অন্ধকার-
বুকে ঠেলে নিয়ে যাবো সূর্যের অস্তরেখা তক্!
এই জীবনের কেলাস, এ দুঃসহ জ্যামিতিক রূপের
উৎস ঘুরপথে আবার মিশে গেছে নিত্য ওঠা
আমার ভোরে, বিষন্ন প্রস্রবণে।
তবুও খুঁজে ফিরি বার বার মুক্তির আস্বাদ-
চোরা পথ যদি পাই পথের ভুলে, ভুল পথে হেঁটে
তিমিরের বিষমবাহু তলে-
একবার পড়ন্তকালে ধূসর স্ফটিক বিসর্গ মুক্তি।