বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ বুধবার
নবোদয় প্রতিবেদক : তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে, শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তার অনুপস্থিতিতে চার্জ গঠন ও ওয়ারেন্টজারির তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।
বলা হয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ১/১১’র মইনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার দেশে বিরাজনীতিক করনের প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার লক্ষ্যে যেভাবে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় কারারুদ্ধ করেছে, একইভাবে তারেক রহমানের ওপর শারীরিক নির্যাতন করে নির্বাসিতও করেছে।
অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার এবং বিএনপিকে নেতৃত্বশূণ্য করা হীন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
‘এই হীন অপচেষ্টার প্রতিবাদে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের চার্জগঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী বুধবার সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অথবা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে বিএনপি।’
বৈঠকে বলা হয়, ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ সেই ভয়ঙ্কর কালো দিনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এই ষড়যন্ত্রের দিনে আওয়ামী লীগের কলঙ্কতি রাজনীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি সোমবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় ভার্চুয়াল আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে কোভিড-১৯ টিকা আমদানির দায়িত্ব শেয়ার বাজার লুণ্ঠনকারী বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপকে প্রদানের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া আগামী ১৯ জানুয়ারি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী বিএনপি ও সকল অঙ্গ-সংগঠন সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।