শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে সাভার থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কেক কেটে বিজয় উল্লাস
সাভার প্রতিনিধি: বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস একটি বিষাদময় দিন। জাতী শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আর তিনি আওয়ামী লীগের একজন থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়ে সাভারের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করে বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য ফের সমালোচনায়্ এসেছেন সাভার থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়সাল আহমেদ। এবার শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে বিজয় দিবসের কেক কেটে আলোচনায় আসেন তিনি। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিকৃয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো সাভার জুড়ে।
সাভার সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীদের সুত্রে জানা গেছে, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে পুরো বাঙ্গালী জাতি যখন শোকে মুহ্যমান, ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী ভাব-গম্ভীর্যের সাথে স্মরন করছে জাতির সুর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবিদের, এদিনই কতিপয় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে কেক কেটে বিজয় দিবসের উল্লাস পালন করছেন সাভার থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়সাল আহমেদ। এ খবর মূহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সরকারদলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগীয় অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে। খোদ নিজ দলেই প্রশ্ন উঠে ফয়সাল আহমেদের রাজনৈতিক অতীত ইতিহাস নিয়ে। এ ধরনের হীন কর্মকান্ডের কারনে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়েও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।দলীয় নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী উঠে তার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মন্ডল হত্যা মামলায় সংগঠন থেকে বহিস্কার হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান ফয়সাল আহমেদ। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই বিতর্কিত কর্মকান্ড শুরু করেন তিনি। সম্প্রতি সাভার থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাসির আহমেদকে অবহিত না করেই সাভারের ৪টি ইউনিয়নে বিএনপি-জামাতের আশির্বাদপুষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়ে যুবলীগের কমিটি গঠন করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। পরবর্তীতে দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে সে কমিটি গঠন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন বিতর্কিত এ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।