করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে আমেরিকায় আসতে
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ আগামী ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে কেউ আমেরিকায় আসতে হলে তাকে বিমানে ওঠার আগেই করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। এর আগে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য থেকে আমেরিকায় আসতে হলে এই সনদ দেখাতে হতো ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্স-এর যাত্রীদের। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের পরিচালক ড. রবার্ট আর রেডফিল্ড এক বিবৃতিতে নতুন নিয়মের ঘোষণা দিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের মারাত্মক করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সেদেশ থেকে আমেরিকায় আসা যাত্রীদের জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। আর এখন সেই নিয়ম আরও সম্প্রসারণ করে সব যাত্রীর জন্যই করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক ড. রবার্ট আর রেডফিল্ড বিবৃতিতে বলেন, ‘পরীক্ষা ঝুঁকি নির্মূল করতে পারে না। তবে এর সঙ্গে মানুষ যখন নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টিনে থাকবে এবং মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো প্রাত্যহিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার চর্চা করবেন তখনই ভ্রমণ নিরাপদ হবে।’
সিডিসি জানিয়েছে, টিকা নেয়া বা না নেয়া সব যাত্রীর জন্যই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ফ্লাইটে ওঠার তিন দিনের মধ্যে তাদের পরীক্ষা করাতে হবে। আর লিখিতভাবে পরীক্ষার ফলাফল দেখাতে হবে কিংবা করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ দিতে হবে। টিকা নেয়ার প্রমাণ যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হবে না। কারণ টিকা কেবল মারাত্মক অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দেয় বলে জানিয়েছেন সিডিসির মুখপাত্র জেসন ম্যাকডোনাল্ড। তিনি জানান, টিকা নেয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে পারে। আর তত্ত্বীয়ভাবে ফ্লাইটের মধ্যে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।
সিডিসি জানিয়েছে, সব এয়ারলাইন্সকে যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভ ফল কিংবা তাদের সেরে ওঠার প্রমাণ বিমানে ওঠার আগেই নিশ্চিত করতে হবে। কোনো যাত্রী এসব প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলে তাকে বিমানে উঠতে দেয়া হবে না।