ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৯:৪৫ অপরাহ্ন

কেরানীগঞ্জে স্ত্রীর হত্যায় স্বামী গ্রেফতার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, September 24, 2023 - 3:23 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 89 বার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে এসে থানায় নিখোঁজের জিডি করেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী রনি মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

রোববার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের
কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালবেলা রনি ও স্ত্রী ফারজানার পুরাতন প্রেমের সম্পর্কগুলো নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়।

যেহেতু নিহত ফারজানা এবং তার পুরাতন প্রেমিক কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে নিয়োজিত ছিল সেজন্য তার স্বামী তাকে অত্যন্ত সন্দেহ করা শুরু করে। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে। ঘটনার দিন ফারজানা তার ঘর করবেনা এমনকি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে বলে জানালে তার স্বামী সেদিনই ফারজানাকে হত্যার জন্য একটি সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে ফেলে। সেইদিন রাতের খাওয়া শেষে তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে বছিলা ব্রিজ সংলগ্ন নৌ-পুলিশ ফাড়ীঁর পিছনে নদীর পারে অত্যন্ত নির্জন ও গভীর জলাধারের কাছে নিয়ে প্রেমালাপ শুরু করে।

কিছুক্ষন পরেই পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি মিয়া ফারজানাকে অত্যন্ত জোরে ধাক্কা দিয়ে গভীর পানিতে ফেলে দেয়। নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় ফারজানা পানির গহিন তলে ডুবে যায়। ফারজানার বোরকা পরিহিত ছিল এবং সাতার না জানার কারনে সে আর উপরে উঠতে পারেনি। আত্নীয়-স্বজনদের ফোন দিয়ে বলে যে, রাতে ফারজানা তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে মোবাইল বাসায় রেখে কালো বোরকা পরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় নিখোঁজ ফারজানার স্বামী রনি মিয়া বাদী হয়ে ফারজানার মাকে (শ্বাশুড়ী) সহ থানায় এসে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার জিডি করনে।

তিনি আরও বলেন, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ উক্ত নিখোঁজ জিডির সূত্র ধরে নিখোঁজ ফারজানাকে খুজতে থাকে। নিখোঁজ ফারজানার স্বামী রনি মিয়া পুলিশকে জানায় যে, ফারজানার বিয়ের আগে নাদিম নামে একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উক্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ফারজানা রাগ করে বাসা থেকে চলে যায়। পুলিশ ফারজানার বিয়ের আগের প্রেমিক নাদিমের কাছে ফারজানা গিয়ে থাকতে পারে এই ধারণা করে প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে থাকে।

ফারজানার পরিবারও ফারজানার বিবাহের পূর্বে নাদিমের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা নিশ্চিত করে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আলামত ও পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে এবং লাশটি কিভাবে ভাসতে ভাসতে ১৫ কিলোমিটার দূরে চলে আসলো সে ব্যাপারে ব্যাপক পর্যালোচনা করে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য পেতে শুরু করে।

এ বিষয়ে পুলিশ ভিকটিম ফারজানার স্বামী রনি দেওয়া তথ্য এবং ঘটনার রাতে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার রাত্রীকালিন বিভিন্ন অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশ নিখোঁজ ফারজানার স্বামী রনি মিয়াকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ধৃত আসামী রনি মিয়া তার স্ত্রী ফারজানাকে কিভাবে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করেছে সে ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য প্রদান করে।