ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ২:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

অনিয়মিত কলেজ করে নিয়মিত বেতন-ভাতা  উত্তোলন করেন ড.লোকনুজ্জামান

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Saturday, January 20, 2024 - 4:45 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 59 বার

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. লোকনুজ্জামান অনিয়মিত অফিস করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় শিক্ষা নীতিমালা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মনগড়া রেজুলেশন তৈরী করে সকল শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নাম মাত্র মসজিদের উন্নয়ন বাবদ বাদ্ধতামূলক ১০০ টাকা করে উত্তোলনের অভিযোগ অনেক পুরাতন।

সহযোগী অধ্যাপক ড. লোকনুজ্জামান আহম্মেদ নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজে যোগদান করার পর থেকেই তিনি তার গায়েবী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি শিক্ষা নীতিমালা কে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মন মত করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে নিজের খেয়াল খুশি মতো কলেজে যাতায়াত করেন। তার খারাপ ব্যবহারে  কলেজ শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। গত প্রায় ছয় মাস অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ড.লোকনুজ্জামান আহম্মেদ মাসে ৫-৭ দিন কলেজে আসেন।

কলেজ মসজিদের উন্নয়ন বাবদ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী নিদিষ্ট পরিমানের অর্থ নেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এছাড়াও ড. লোকনুজ্জামান তার গায়েবী ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মনগড়া রেজুলেশন তৈরী করে সকল শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ১০০ টাকা করে আদায় করেন তিনি। তবে এই বিষয়ে নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মতিউর রহমান কিছু জানেন না বলে জানান প্রতিবেদক কে।

অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে টাকা আদায়, টাকার আয় ও ব্যায়ের হিসাবের জন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও মিলেনি তার কোন উত্তর। গোপন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রায় সারে ৬ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। অথচ এই টাকার বিষয়ে জানেন না অত্র কলেজ এর অধ্যক্ষ। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় এই বিষয়ে ড. লোকনুজ্জামান আহম্মেদ আলাদা ব্যাংক একাউন্ট করেছেন অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া। যে একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে হলে ড.লোকনুজ্জামান ও তার আরো এক সহযোগী শিক্ষকের সাক্ষরই যথেষ্ট। আদেও সে একাউন্টে টাকা আছে কিনা এবিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মতিউর রহমান বলেন, আমি অবাক হয়ে গেছি যে, আমার কলেজে আলাদা একাউন্ট করা আছে সেটাও আবার আমি নিজেই জানিনা। এবিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিয়ে আপনার সাথে কথা বলবো। অপরদিকে আমার সহযোগী অধ্যাপক ড.লোকনুজ্জামান আহম্মেদ এর বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত ড.লোকনুজ্জামান আহম্মেদ কে কলেজে না পেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলেজে অনিয়মিত হবার বিষয়ে কোন উত্তর দিতে রাজি হয়নি। অপরদিকে নিয়ম বহিভূতভাবে শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রেজুলেশন করে টাকা উত্তোলন করেছি।