আশাশুনিতে মামলার সাক্ষিদের উপর আসামী পক্ষের হামলা ও মুদি দোকিনে লুটপাটের অভিযোগ
আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: আশাশুনিতে মামলার সাক্ষিদের উপর আসামী পক্ষের হামলা ও মুদি দোকিনে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের হোসেন পুর গ্ৰামে।
সরেজমিন ঘুরে ও লিখিত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হোসেন পুর গ্ৰামের মৃত ব্রজেন্দ্রনাথ ঢালীর ছেলে দিপংকর ঢালী “ওমেন পাওয়ার ফাউন্ডেশন” নামে একটি এনজিও পরিচালনা করছেন। উক্ত এনজিও থেকে একই গ্ৰামের লক্ষীকান্ত মন্ডলের ছেলে সুভাষ মন্ডল ও প্রসাদ মন্ডল ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের টাকা সময়মত পরিশোধ না করায় “ওমেন পাওয়ার ফাউন্ডেশন” এর পরিচালক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা এনজিও’র পরিচালক এবং কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার সাধারণ ডায়েরি এবং কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। হোসেন পুর বাজারে মামলার সাক্ষী পরিচালকের ভাই হরীদাশ ঢালীর মুদি দোকানে বাকি খেতেন মামলার আসামী সুভাষ মন্ডল ও প্রসাদ মন্ডল। বিগত কয়েক বছর হালখাতায় বাকি লেনদেন পরিশোধ না করায় পাওনা টাকা পরিশোধ করতে চাপ প্রয়োগ করায় গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে হরীদাশ ঢালীর দোকানে হামলা চালায়ে হরীদাশ ঢালীসহ আরও কয়েক জনকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা ক্যাশে থাকা নগত টাকা ও মুদি দোকানের মালামাল লুট করে চলে যায়। রক্তাক্ত জখম হরীদাশ ঢালী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। সাক্ষীদেরকে হয়রানীসহ এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য আসামী পক্ষ বিগত মামলার সাক্ষীদের নামে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করে।
ওমেন পাওয়ার ফাউন্ডেশনের ঋণগ্রহীতা সদস্যা জদুয়ার ডাঙ্গা গ্ৰামের অরুনা সরকার এবং টৈংরাখালী গ্ৰামের সূচিত্রা মন্ডল প্রতিবেদককে জানান, এই এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে আমরাসহ বিভিন্ন এলাকার অনেকে অসহায় মানুষ উপকৃত হয়েছে। এনজিও মালিকের প্রতিবেশি সুভাষ মন্ডল ও প্রসাদ মন্ডল ঋণ নিয়ে সেটা পরিশোধ না করে উল্টো মালিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
সাতক্ষীরা ও খুলনার আংশিক এলাকার গরীবের বন্ধু নামে পরিচিত “ওমোন পাওয়ার ফাউন্ডেশন” এরং মালিকের নামে মিথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।