ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ৭:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কয়েক সপ্তাহ পর দেখা মিলিল সকালে সূর্যের আলো।

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, December 23, 2020 - 5:03 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 119 বার

মেছবাহুল আলম, ভুরুঙ্গামারী প্রতিনিধি :কুড়িগ্রাম জেলায় চলতি শীত মৌসুমে কয়েক সপ্তাহ পর দেখা মিলেছে সূর্যের। ফলে জন জীবনে ফিরেছে আশার স্বস্তি। জেলার চরাঞ্চলের মানুষগুলো রোদের দেখা মেলায় বেজায় খুশি।

জেলার ভূরুঙ্গামারীতে গত তিন দিন থেকে সূর্য্যের দেখা মিলছে। ফলে দিনের তাপমাত্রা বেড়েছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে জনসমাগম বেড়েছে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে গেছে। সেই সাথে আকাশে মেঘ না থাকায় দেখা মিলছে সূর্যের মুখ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের উত্তাপ বেড়েছে। দিনভর পাওয়া যাচ্ছে আলো। তবে উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে আসায় রাতের বেলায় কনকনে ঠাণ্ডা এখনো অনুভূত হচ্ছে ।

অবশ্য সন্ধ্যা হতে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে ভূরুঙ্গামারীর আকাশ। দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকছে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবার রাতের বেলায় তাপ মাত্রা কমে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকছে।

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রতি বছর খানিকটা আগেই শীত আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। পৌষের শুরুতেই প্রচন্ড কণকনে শীতের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছিল উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। শীতের তীব্রতায় কমে গিয়ে ছিল তাদের আয়-উপার্জন। ফলে পরিবারের ভরণ পোষনের চিন্তায় হতাশ ছিলো তারা। কিন্তু গত তিন দিন থেকে সূর্য্যের আলোয় চারদিক আলোকিত হওয়ায় তারা কাজে ফিরতে পারার ফলে স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষ গুলোর মাঝে।

রিক্সা চালক ইয়াছিন আলি জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে কয়েক দিন রিক্সা চালাতে পারি নাই। পরিবার নিয়ে খুব বিপাকে ছিলাম। গত দুই দিন থেকে দিনে রোদ ওঠছে রিক্সা চালাতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলাল বলেন অতিরিক্ত শীতের কারণে বাজারে লোকজন কম আশায় বিক্রি অনেক কম হত, এখন আবার আগের মত হয়েছে তাই তিনি ভিষণ খুশি। মাছ ব্যবসায়ী প্রফুল্ল দাস জানান ঠান্ডার কারনে তারা মাছ মারতে পারেনি আর বিক্রি ও করতে পাইনি এই কয়েকদিন, এখন রোদ উঠেছে পানিও আগের মত ঠান্ডা না থাকায় তারা আবারো মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করছেন। তারাও খুব খুশি হয়েছেন।