দ্রুত সংশোধন চান -কোভিড প্যাকেজ বিলে সন্তুষ্ট নন ট্রাম্প
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধি ঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৮৯২ বিলিয়ন ডলারের ‘উদ্দীপনা প্যাকেজের’ সংশোধন চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্যাকেজ থেকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও অপব্যয়ের খাত’ বাদ না দিলে তাতে স্বাক্ষর না করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘অতি শিগগির কংগ্রেস যেন এই বিল থেকে অপ্রয়োজনীয় ও অপব্যয়ের খাতগুলো বাদ দিয়ে একটি যুতসই বিল আমার কাছে পাঠায়।’
বিলে প্রত্যেক আমেরিকানকে ৬০০ ডলার করে এককালীন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প এটি বাড়িয়ে দুই হাজার ডলার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ট্রাম্প তাঁর টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিল নিয়ে একটি ভিডিও বক্তব্য পোস্ট করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও বিবিসির খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।
গত সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উচ্চকক্ষ সিনেটেও প্রণোদনা প্যাকেজটি পাস হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সই করলেই এটি আইনে পরিণত হবে এবং এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।
ভিডিও বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে ঠিকঠাক একটি বিল পাঠান, নয়তো পরবর্তীতে প্রশাসন কোভিড ত্রাণ প্যাকেজ আনবে এবং সেই প্রশাসন আমিও হতে পারি, তখন আমরা এটি করব।’ তবে ট্রাম্প সরাসরি ভেটো দেওয়ার কথাও বলেননি। এই বিলে প্রেসিডেন্ট সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘একে কোভিড ত্রাণ বিল বলা হচ্ছে, তবে এর সঙ্গে কোভিডের প্রায় কোনোই সম্পর্ক নেই।’
সিএনএন লিখেছে, হোয়াইট হাউসে ধারণকৃত ওই ভিডিও বক্তব্য মিডিয়ায় পাঠানো হয়নি। সেখানে সাংবাদিকের প্রশ্ন করারও সুযোগ ছিল না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে বিলে সই করতে পারেন- এমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালের দিকেও হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ এই বিলের পক্ষে কথা বলেছে। তবে শুরু থেকেই ট্রাম্পের নিকটস্থ অনেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন।
সিএনএন জানায়, এই তহবিল থেকে প্রত্যেক আমেরিকানদেরকে ৬০০ ডলার করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া পুরো তহবিলের ২৮৪ বিলিয়ন ডলার যাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ পরিশোধে। ব্যক্তি উদ্যোগের মুভি থিয়েটার ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ বিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া এই বিলে করোনার টিকা কিনতে এবং করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ২০ বিলিয়ন ডলার করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আর টিকার বণ্টনের জন্য রয়েছে আট বিলিয়ন ডলার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পাবে ৮২ বিলিয়ন ডলার। আর, শিশুদের যত্নে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রাখা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া শিশুর পুষ্টি খাদ্যে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিশ্চিদ্র ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সেবা চালু রাখতে সাত বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতের জন্য রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলার।