ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ২:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

এখনো বিচার পায়নি চকরিয়ায় পুলিশের হয়রানীর শিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Wednesday, January 6, 2021 - 11:25 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 93 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখনো বিচার পায়নি কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের হয়রানীর শিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। অভিযোগ উঠেছে চকরিয়ার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন ও এএসআই মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ ও তার পরিবারকে হয়রানীর।

শনিবার (০২জানুয়ারি) বিকেলে এর প্রতিকার চেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ বাদী হয়ে চকরিয়া-পেকুয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও এখনো কোন সুরহা পায়নি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এর প্রতিকার ছেয়ে নতুন করে পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মোঃ ইউসুফ। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর নোনাছড়ি এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফের নাতি মোঃ ইব্রাহীম গত ১২ নভেম্বর বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া এলাকার সোলতান ও মজনু বেগম নামের দুজনকে বিবাদী করে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি এএসআই মনিরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার বিবাদীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বৈঠকের তারিখ দিয়েও বৈঠকে বসেননি। সর্বশেষ ১জানুয়ারি বৈঠকের দিন ধার্য্য করলে সেদিন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বাদী পক্ষের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে বৈঠকে বসে। এসময় পুলিশ অফিসার ইউসুফ ও ইব্রাহীমের কাছ থেকে ৩শ টাকার ননজুডিশিয়াল একটি ষ্টাম্পে সাক্ষর আদায় করতে চাইলে, তারা অনীহা প্রকাশ করেন। এতে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ইউসুফ ও ইব্রাহীমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ছিল নিরব দর্শকের ভূমিকায়। পরে পুলিশ অফিসার পুনরায় মিমাংসার কথা বললে বাদী পক্ষ রাজি হয়। এসময় পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল উভয়পক্ষ থেকে বিচার মানবে মর্মে সাক্ষর নিতে চাইলে বিবাদীপক্ষ সাক্ষর দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ অফিসারের সামনে বিবাদীরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি ইব্রাহীম ও মেয়ে ইয়াছমিন আকতারকে মারধর করে। এসময় তারা ইয়াছমিনের কাপড়চোপড় ও চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম ছত্তারকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ মেয়ে ও নাতিকে উদ্ধার করতে গেলে ফাঁড়ির ভেতরেই তাঁদের মারধর করা হয়। এসময় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানরত ইনচার্জ মাহাতাব ও পুলিশ অফিসার মনিরুল ইসলাম হামলাকারীদের কোন ধরনের বাঁধা না করে উল্টু তাঁদের পক্ষ অবলম্বন করে। তাছাড়া এবিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার হুমকি দেয়া হয়।

এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ বলেন, হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে ইনচার্জ মাহাতাব ও পুলিশ অফিসার মনিরুল বিচার বাণিজ্য করে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তাছাড়া বিচারপ্রাপ্তীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে।