ট্রাম্পের শাস্তি হওয়া উচিত
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করি। যুক্তরাষ্ট্রে গত চার বছরে যত সন্ত্রাস হয়েছে তার ৮০ %এর জন্য দায়ী শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থিরা। অথচ কথায় কথায় ‘মুসলিম সন্ত্রাসী’ বলা হচ্ছে।
এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও হরদম একইভাবে মুসলমানদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী ভেবেছেন। ৬ জানুয়ারি গোটা বিশ্বকে অবাক করে ট্রাম্প নিজেই ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক সংকটের পেছনে সুযোগ লুকিয়ে থাকে-উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এ কথাটি মনে করিয়ে দেন । মনে রাখতে হবে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের পথ আমাদেরকেই বের করতে হবে।
আমি মনে করি জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে, সমস্যা আছে বলেই সাফল্যের এতো স্বাদ।ইমেজ পুনরুদ্ধারে সময় লাগবে-যে ঘটনাটি ঘটল তা অপ্রত্যাশিত। এটা গণতন্ত্রের জন্য, সারাবিশ্বের জন্য একটি শিক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র অনেক পুরনো। কিন্তু গণতন্ত্রের সুপথে চলার জন্য আইনের শাসন অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য সিভিল সোসাইটিকে সবসময় জাগ্রত থাকতে হয়। ট্রাম্প কীভাবে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটালেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমেরিকার গণতন্ত্রের একটি মূল বিষয় হচ্ছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর।
কিন্তু ট্রাম্প সেটা সহিংসতার মধ্য দিয়ে উলটে দিতে চেয়েছেন। কিন্তু জয় শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের হয়েছে। আমেরিকার গণতন্ত্রের একটি মূল বিষয় হচ্ছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর।Democracy is alive, populism is dead. আমি বলবো Violent do not win & freedom win.
ট্রাম্প গত চার বছরে যে বর্ণবাদী রূপ দেখিয়েছেন তার চূড়ান্ত প্রকাশ এই তাণ্ডব। সন্ত্রাসের গডফাদার’ হিসেবে গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করতে হবে ট্রাম্পকে -বলে আমি মনে করি।
এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গণতন্ত্রের জন্য যে বড় রকমের হুমকি তৈরি হলো, তা আমরা খুব স্পষ্টতই বুঝতে পারলাম। চার বছর ধরেই দেখতে পাচ্ছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মধ্যে যে এক ধরনের ভঙ্গুরতা রয়েছে, বিশেষ করে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্ব ট্রাম্পের মধ্য দিয়ে দেখতে পেলাম আমরা, উগ্রপন্থার যে বিকাশ দেখতে পেলাম, এটা সে সবেরই একটি পরিণতি।
কয়েক বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে এ দেশের উগ্রপন্থিদের উসকে দিয়েছেন, তাতে এ ধরনের একটি সন্ত্রাসী তৎপরতা ঘটা বিস্ময়কর নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে কোনো ধরনের সহিংস আচরণে ক্ষমতা বদল করতে চায়, তাকে বলা যায় সন্ত্রাসী তৎপরতা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেপরোয়া হয়ে সেটা উসকে দিয়েছেন। প্রকাশ্যে সমাবেশ করে উসকে দিয়েছেন। চার বছর ধরেই দেখতে পাচ্ছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মধ্যে যে এক ধরনের ভঙ্গুরতা রয়েছে, বিশেষ করে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্ব ট্রাম্পের মধ্য দিয়ে দেখতে পেলাম আমরা, উগ্রপন্থার যে বিকাশ দেখতে পেলাম, এটা সে সবেরই একটি পরিণতি।
এমন আচরণ উসকে দেওয়ার জন্য কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ আছে?প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচের বিল পাশের পর ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আমি মনে.করিডোনাল্ড
ট্রাম্প শুধু আমেরিকার জন্যে হুমকি নন, গোটাবিশ্ব মানবতারও দুশমন। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হলেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জিত হবে।সেটিও মুসলমানের সম্পৃক্ততায় ঘটেনি। এ ধরনের বহু উদাহরণ রয়েছে, যেগুলোতে শ্বেতাঙ্গ-চরমপন্থিরা অভিযুক্ত হয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেসে সদস্যগণকে অভিনন্দন জানিয়ে আমি বলবো ইউএস সিনেটে ট্রাম্প কনভিক্টেড হবেন বলে সকলের সাথে আমিও আশা করছি। রিপাবলিকান পার্টির মত একটি ঐতিহ্যবাহী-গণতান্ত্রিক সংগঠনে ট্রাম্পের মত বাজে লোকের ঠাঁই হতে পারে না। তাকে সরানো হলেই রিপাবলিকান পার্টির ইমেজ পুনপ্রতিষ্ঠিত হবে বলেও আমি মনে করি ।আমি ৩ নভেম্বরের ২০২০ সলের নির্বাচনে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডনকে ভোট দেই। I’m excited for(January 20,2021) this new chapter-President Biden & Vice President Harris