ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

দুই দিনের ব্যবধানে রাঙ্গুনিয়ায় আবারও যুবকের লাশ উদ্ধার

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Saturday, July 15, 2023 - 7:34 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 77 বার

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম): রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ইসলামপুর গাবতল এলাকার রাস্তার পাশ থেকে মোঃ আল-আমিন নামের (৩৫) বছরের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

পুলিশের সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মোঃ শহিদ ইসলামের ছেলে।

 

শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়ক গাবতল একালার এন ডি ই কোম্পানি লিমিটেড এর রাস্তার পূর্বপাশে লাশটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

 

উদ্ধার হওয়া লাশটির ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ইসলামপুর গাবতলা এলাকা থেকে আমরা লাশটি উদ্ধার করেছি, প্রাথমিকভাবে এটি সড়ক দুর্ঘটনা নাকি হত্যা আমরা বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই জানা যাবে।

 

গেল দুই দিন আগে সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল অজ্ঞাত যুবকের লাশ। পরপর এই ধরনের ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া সাধারণ জনগণের মাঝে ভীত সম্ভ্রস্ত সৃষ্টি হয়েছে।

 

এদিকে, গত ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মো. জাহাঙ্গীর (৩৫)। তিনি পটিয়া পূর্ব মনসা ৭নং ওয়ার্ড়ের মনসা এলাকার জহির আহমদের ছেলে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নূরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার পটিয়া থেকে এসে উনার পরিবার লাশের শনাক্ত করেন। পরে একটি হত্যা মামলা নেওয়া হয়। যদি তারা লাশটি নিতে চায় আদালতের মাধ্যমে নিতে পারবেন।

 

জাহাঙ্গীরের মামা জালাল উদ্দীন বলেন, জাহাঙ্গীর পেশায় একজন চটপটি দোকানদার। ৮ বছর আগে তিনি বিবাহ করেছেন। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তার মোবাইলে একটি কল আসলে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোন বন্ধ।

 

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সৈয়দ সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজের পাশে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় শেষে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে আঞ্জুমানে বেওয়ারিশ ফাউন্ডেশন কাছে হস্তান্তর করে। পরে আঞ্জুমান দুইদিন লাশের কোন খবর না পাওয়ায় তাঁরা লাশটি দাফন করেন।