রাজশাহীর মোহনপুরে ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ।
মিনাল ইসলাম, গোদাগাড়ী রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলার মোহনপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলছে ইটভাটা।অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না বরং ইটের মৌসুম আসাতে ভাটাগুলোতে কাজ চলছে জোরেশোরে।আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দেখা যাচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে।
ভাটার মালিকরা জানায়, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম।অবৈধ এসব ইটভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।কয়লার দাম বাড়তি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারে লাকড়ি-কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বৃক্ষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।মোহনপুর উপজেলায় মোট ৬টি ইটভাটা রয়েছে।৬টি ইটভাটার মধ্যে একটির ও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধেরও বিধান রয়েছে। কিন্তু মোহনপুরে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে জাহানাবাদ ইউনিয়নের আল আমিনের ভাটাসহ দুটি ইট ভাটায় অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করেছে।এমনকি ইটভাটাগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে আমসহ বিভিন্ন গাছের কাঠ।
এদিকে, বুধবার দুপুরে উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মামুনের ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায়,চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে কাঠ পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ধোঁয়া বের হচ্ছে।আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
অপর দিকে এসব ইটভাটাতে ৩ থেকে ৪ ধরনের ফরমা ব্যবহার করা হয়। এতে ইটের সাইজ ছোট-বড় করে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়ে থাকে।
রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী কবির হোসেন বলেন,খুব শ্রীঘ্রই এসব ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে।উপজেলা ইউএনওকে এসব ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।