ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, December 18, 2020 - 9:19 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 44 বার

ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ বাগেরহাট জেলার, শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া দ্বীপচর এলাকার মোঃ ফজলুল হক সওদাগরের ক্রয়কৃত জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী রাজ্জাক চৌধুরীর পরিবারের বিরুদ্ধে।আদালতে মামলা চলমান থাকা ও ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও জমি দখলের পায়তারা হিসেবে ওই জমিতে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে।

মোঃ ফজলুল হক সওদাগরের মেয়ে নাসিমা আক্তার বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও তার ওয়ারেশদের কাছ থেকে ৪টি দলিলে আমার পিতা ৬৬ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে আমরা এই ক্রয়কৃত জমি ভোগ দখল করি। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আব্দুর রশিদ চৌধুরীর ছেলে প্রবাসী রাজ্জাক চৌধুরীর স্ত্রী খাদিজা বেগম আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করে।জমি দখলের অংশ হিসেবে দু একজন প্রতিবন্ধি এনেও খাদিজার বাড়িতে রাখেন।সকল নিয়ম কানুন ও আইন উপেক্ষা করে মঙ্গলবার আমাদের জমিতে মাটি কেটে ডোবা তৈরি করছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিকভাবে শরণখোলা থানার এসআই স্বপন ঘটনাস্থলে পৌছান। তিনি খাদিজা বেগমসহ তার লোকজনকে মাটি কাটতে নিষেধ করলে তারা মাটি কাটা বন্ধ করলেও পুলিশ চলে গেলে আবার মাটি কাটা শুরু করে। পরবর্তীতে আমাদের জমিতে থাকা সুপারি ও মেহগুনি গাছ কেটে নিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবার আমাদের জমিতে ঘর তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

নাসিমা আরও বলেন, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও শরণখোলা থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে খাদিজা বেগমের সখ্যতা থাকায় তিনি কোন কিছুই পরোয়া করেন না। আমাদের জমিতে স্থাপনা নির্মান ও মাটি কাটতে নিষেধ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। লোকজন নিয়ে দা-খোন্তা দিয়ে মারতে আসে। আমাদের বাড়িতে তেমন কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় আমাদের উপর আরও বেশি অত্যাচার করে তারা। আমরা আদালত, থানা পুলিশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে আমার ন্যায্য পাওনা অর্থ্যাৎ ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগ দখলের নিশ্চয়তা চাই।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সাইদুর রহমান বলেন, মোঃ ফজলুল হক সওদাগরের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা খাদিজা বেগমকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বলেছি। বিবাদমান জমিতে যাতে আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি না হয় সে বিষয়ে নির্দেষনা দেওয়া হয়েছে। আর জমিজমার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার ভুক্ত, দুই পক্ষই আদালতের সরনাপন্ন হয়েছেন। আসলে আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া আমাদের কারও কাজ বন্ধ করার সুযোগ নেই।