ঢাকা | ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ - ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ময়মনসিংহে বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে আ’লীগ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, January 10, 2021 - 6:02 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 82 বার

মো: আরিফ রববানী (ময়মনসিংহ) : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফেরার দিনটি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় প্রতিবছর স্মরণ করেছে জাতি। মহানায়কের ফেরার সেই ঐতিহাসিক দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে এবার উৎসব-উদ্দীপনার সঙ্গে দিবসটি উদযাপিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে দিবস পালন করেছে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে রবিবার ১০টায় নগরীর পুলিশ লাইনস্থ জাতির জনকের প্রতিকৃতি চেতনায় অম্লানে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পন করে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি জানান নেতাকর্মীরা।

এসময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম, এম এ কুদ্দুছ, শওকত জাহান মুকুল, দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু সাঈদ দীন ইসলাম ফকরুল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম রাসেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মিরন চৌধুরী, যুব বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর বাশার ভাষানী, তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন, জেলা শ্রমিকলীগের নেতা রাকিবুল ইসলাম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রচার সম্পাদক সুমন তাজ, জেলা যুবলীগের সদস্য আনোয়ার জাহান শারীফ, গোলাম মেহেদী হাসান মেহেদী, ইমরান জামান বাবু, কোতোয়ালী যুবলীগের নেতা রাশেদুজ্জামান রোমান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নাহিদা ইকবাল, আইডিয়াল ইন্টান্যাশানাল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লায়ন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, প্রিন্সিপাল তাসকিনা খানম, পরিচালক নীহারিকা পারভিন, জেলা তাতীলীগের আহবায়ক জুয়েল, সদস্য সচিব শেখ আমানুল ইসলাম জলিল, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদা তাহমিনা প্রীতি, সহসভাপতি নাজমা আজাদ, আকিকুন নাহার,আনজুমানারা সরকার, শাহীনুর আক্তার মিলি, যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর শাম্মী আক্তার মিতু, হোসনা আহাম্মেদ রুনা, মর্জিনা আহমেদ, স্বপ্না সরকার, সাংগঠনিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রুনা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নীলা, দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর কাওসার ঈ জান্নাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইলোরা পারভীন সম্পা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরিন, সদস্য জান্নাত, শেফালী,জেলা মহিলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সৈয়দা রোকেয়া আফসারী শিখা, মহানগর শাখার সভাপতি আফসানা আক্তার, সাধারন সম্পাদক হেলেনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী মর্জিয়া সুলতানা হাসি, মাহমুদা হোসেন মলি, ছাত্রলীগ নেতা কবির, সুজন, সাগর সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকালে নগরীর টাউন হল অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কবির উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও
সাধারণ সম্পাদক এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য যে – পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দিনের অপরাহ্ণে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন অগণিত জনতা মুহুর্মুহু হর্ষধ্বনি ও গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্বাগত জানান প্রিয় নেতাকে। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান)। সেখানে লাখো মানুষের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণ শুরুর পরই ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।