ত্রিশালে একতা ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে অভিযান চালিয়ে একটি ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ৩টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়াসহ ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ ) টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার যৌথ উদ্যোগে উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের এলংজনি বাজারের পিছনে পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ একতা ব্রিকস ফিল্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন হক এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ পরিচালক মিহির লাল সরকারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় ও বায়ু দূষণ রোধে ইটের ভাটা বন্ধের কোন বিকল্প নেই। ইটভাটার কালো ধোয়া পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ইটভাটার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় প্রতিটি অঞ্চলে শিশু কিশোর, বৃদ্ধ লোকের শ্বাস কষ্ট সহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলজ ও ঔষধী গাছ মৃত প্রায়। কৃষকরা ফসলি জমির ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে জানা যায় প্রভাবশালী, অসাধু মাটি ও লড়ী ব্যবসায়ী যোগসাজশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই আব্দুল মোতালেব, আব্দুল মোবিন রঞ্জু, উজ্জল, রসুল, ওয়াসিম গং সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করতে পরিবেশ বান্ধব অগ্রাধিকার ইকো ব্রিকস প্রকল্প নস্যাৎ করে পুরা ইটের ভাটা পরিচালনা করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ইতিপূর্বে ত্রিশাল উপজেলায় ৬টি ইটের ভাটায় ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং পরিবেশ রক্ষায় ইটভাটা পরিচালনা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। পরিবেশ রক্ষায় ২০২৫ সালের মধ্যে ইকো ব্রিকস প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিবেশের ছাড়পত্র বিহীন পুরা ইটেরভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের অংশ বিশেষ বলে জানান পরিচালক ফরিদ আহম্মদ।
স্থানীয় পুলিশবাহিনীর সদস্যরা উক্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সার্বিক ভাবে সহায়তা করেন। ময়মনসিংহ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্র জানায়-
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সহযোগিতা করতে সর্বস্তরের জনতার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ পরিচালক মিহির লাল সরকার।