বগুড়ায় ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২-এর বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট গ্রামের জয়নাল আলীর ছেলে মোহাম্মদ খলিল (৩০) এবং আনছার আলীর ছেলে জুম্মান শেখ (৩২)। মামলার বিচারকাজ চলাকালীন মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া আসামি হলেন নারহট্ট গ্রামের নরেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে চৈতন্য বর্মন। পাশাপাশি মামলার অভিযোগপত্রে নাম থাকলেও বিচারকাজ চলাকালীন মৃত্যু হওয়ায় এক আসামিকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট দোয়ানীপাড়া গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী (১০) ২০০৮ সালের ৩০ মে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এক দিন পর শিশুটির লাশ গ্রামের একটি পুকুরের শানবাঁধানো ঘাট থেকে উদ্ধার হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পেঁয়াজি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নারহট্ট গ্রামের খলিল, জুম্মান ও চৈতন্য শিশুটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় নিহত শিশুটির নানা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কাহালু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণসহ হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং বগুড়ার নারী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর পিপি আশেকুর রহমান সুজন প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত দুই আসামি আদালতে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এক আসামি বিচারকাজ চলাকালীন মৃত্যুবরণ করায় আদালত তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। আসামিদের যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি এক লাখ করে টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আসামিদের আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।