ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ২:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

দুই র‌্যাব সদস্যকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Thursday, December 10, 2020 - 1:59 pm
  • admin
  • পঠিত হয়েছে: 130 বার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় র‌্যাবের দুই সদস্যকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে আরিফুর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ছেলে। গ্রেপ্তার অপর দুজন হলেন উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের আরিয়ান সাবের ওরফে চঞ্চল (২৬) ও আড়াইসিধা ইউনিয়নের সালাউদ্দিন মিলন (৩৩)।

র‌্যাব ও মামলা সূত্র জানায়, বুধবার রাতে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের দুই সদস্য সরকারি কাজে আশুগঞ্জ বাজারের মুন্সি মার্কেটের সামনে যান। সেখানে তাঁদের মোটরসাইকেল রাখেন। এ সময় সেখানে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ছেলে আরিফুরসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। আরিফুর র‌্যাবের দুই সদস্যকে সেখান থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তাঁরা নিজেদের র‌্যাবের সদস্য বলে পরিচয় দিলে আরিফুর রেগে যান। একপর্যায়ে আরিফুর, তাঁর চাচাতো ভাই আরিয়ান, সালাহউদ্দিনসহ চার-পাঁচজন মিলে দুই র‌্যাব সদস্যকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর রাতেই র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি বলেন, সিভিল পোশাকে র‌্যাবের দুই সদস্য মুন্সি মার্কেটের মিলন মিয়ার কম্পিউটারের দোকানের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল রাখেন। এ সময় মিলন মিয়া মোটরসাইকেলটি দোকানের সামনে থেকে সরাতে বলেন। এতে র‌্যাবের দুই সদস্য ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন তাঁর ছেলে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধা দিয়েছেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।

এ বিষয়ে জানার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, উপজেলার মুন্সি মার্কেটের সামনে সরকারি কাজে বাধা ও র‌্যাব সদস্যদের মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।